Courtesy: Razib Ahamed
ড্রাগস কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধির চাকরি মানুষ কেন করে, আমার বুঝ আসে না? কেউ যদি ভুল করে (না জেনে, না বুঝে) এই চাকরিতে ঢুকেও পড়েন তো কিছুদিনের মধ্যেই বুঝতে পারার কথা- পেশাটা ভন্ডামিতে ভরপুর; প্রতিনিয়ত ছলে-বলে-কৌশলে মিথ্যা কথা বলতে হয় আর প্রতারণা করতে হয়!
প্রথমেই যখন মূল সনদপত্র এবং স্বাক্ষরিত চেক জামানতস্বরূপ রাখতে বাধ্য করা হয়, তখনই তো চাকরি করতে অস্বীকৃতি জানানো উচিত? দেশের প্রচলিত শ্রম আইন অনুযায়ী, এগুলো তো চাকরি গ্রহণের শর্ত হতে পারে না? চাকরিতে ঢোকার পর কোনো ছুটি-ছাটা পাওয়া যায় না? প্রতিদিন গভীর রাত পর্যন্ত এই হাসপাতাল থেকে সেই ক্লিনিকে দৌড়াদৌড়ি করতে হয়- যেটা মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়!
প্রত্যেক মাসে বিক্রয় লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হলে নিজের কষ্টার্জিত টাকা মার্কেটে ঢেলে ড্রাগসের নির্ধারিত মূল্যের চাইতে কম দামে (under rate) বাজারে ছাড়তে হয়। প্রেসক্রিপশন লেখানোর জন্য ডাক্তার সাহেবদেরকে ঘুষ (speed money) দিতে হয়। প্রেসক্রিপশনের টার্গেট পূরণ না হলে ডাক্তারকে দিয়ে fake prescription লিখিয়ে সেই ছবি তুলে বসের কাছে পাঠাতে হয়। বেতনের টাকা market credit-এ reinvest করতে হয়।
৩০ বছর বয়সে চাকরিতে ঢুকলে ৪০ বছর বয়সের সময় (যখন যৌবনকাল শেষ) ক্রমান্বয়ে বেতন বেড়ে গেলে পদোন্নতি না দিয়ে ঠুনকো অজুহাতে চাকরি থেকে বের করে দেওয়া হয় যেন বেশি সুযোগ-সুবিধা দেওয়া না লাগে। কিন্তু এতো কিছুর জানা ও বোঝার পরেও চাকরিটা যারা অব্যাহত রাখেন, সমস্যা আসলে তাঁদেরই..!
ড্রাগস কোম্পানিগুলো প্রতিনিয়ত আমাদেরকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে যে, এদেশের মানুষগুলো কত বোকা এবং অসহায়?!?
collected from: facebook profile of মোহাম্মদ আজগর আলী খোকন