✅✅আপনার সন্তানকে সব সময় অভাবের কথা বলবেন না। তাকে সব সময় পজিটিভ কথা বলবেন, মন বড় করতে শিখাবেন, অভাবের মাঝে তাকে আটকে রাখবেন না। তাকে মন ও মানসিকতা বড়ো হতে শেখান। তাকে সাধ্যের মধ্যে থেকে যতটুকু পারেন,দামী জিনিসপত্র কিনে দেন। এডগার এলেন পো কিংবা আইজ্যাক বশেভিস সিঙ্গারের বই জন্মদিনে গিফট করেন।
✅✅তাকে সামান্য রাখাল বালকের ব্যাংকার হওয়ার গল্প না বলে এরদোয়ান কিংবা বাইডেনের গল্প বলেন। ‘মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়ো হয়’, এই চরম সত্যটা ছোটবেলায় তার মাথায় গেঁথে দেন।
✅✅তাকে বলেন, যেকোন কাজ সন্মানের। শুধু চেয়ারে বসাই পড়ালেখার উদ্দেশ্য নয়। চিন্তার মুক্তি না হলে, পিএইচডি করেও কোন ফায়দা নেই। নিজের বিবেকের কাছে তাকে সৎ থাকার শিক্ষা দেন।
✅✅তাকে বলেন, এই দেশই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ দেশ না। পৃথিবীতে আরো অনেক বড়ো বড়ো দেশ, জাতি, মানুষ, সভ্যতা আছে। প্রচুর ভ্রমণকাহিনী পড়তে দেন। দশ, বারো বছর বয়স হলেই যেন তার ভিতর সুইজারল্যান্ডের ইন্টারলেকেন কিংবা কাশ্মীরের কোন সকাল দেখার স্পৃহা তৈরি হয়।
✅✅বাচ্চাদের অভাব শিখাবেন না। অভাবী মানুষ পৃথিবীকে কিছু দিতে পারে না। এদের জীবন কাটে ধুঁকে ধুঁকে। খরকুটোর মতো বেঁচে থাকা আসলে কোন ‘জীবন’ না। টাকায় দরিদ্র হওয়া কোন অপরাধ না। অপরাধ হলো, নিজের চিন্তা ভাবনাকে ‘গরীব’ করে রাখা।
✅✅যারা আপনার সন্তানের উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে খাটো করে দেখে, তারা হতাশাগ্রস্ত লোক। এদের কাছ থেকে ৫০০ হাত দূরে থাকুন।
- সংগৃহীত